বিপিইসি: ১.৫ লক্ষ সদস্যের মাইলফলক
আতিকুর রহমান
নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 1, 2025 ইং
বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের অনলাইন উদ্যোক্তা ও ব্র্যান্ড প্রমোশনভিত্তিক অন্যতম বৃহৎ ফেসবুক কমিউনিটি “ব্র্যান্ড প্রমোটার্স ও এন্টারপ্রেনার্স কমিউনিটি (BPEC)” সম্প্রতি ১,৫০,০০০ সদস্যের গৌরবময় মাইলফলক অতিক্রম করেছে। উদ্যোক্তা, কনটেন্ট নির্মাতা ও ডিজিটাল প্রমোটারদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক অনুপ্রেরণাদায়ক সাফল্য।
২০২২ সালের ২২ মে যাত্রা শুরু করা এই গ্রুপটি মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এক বিশাল ও সক্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে। এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ইডিএফ)-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিপিইসিতে যুক্ত হয়েছেন উদ্যোক্তা, মডেল, ব্র্যান্ড প্রমোটার, লাইভ উপস্থাপক, কনটেন্ট ক্রিয়েটরসহ সৃজনশীল পেশাজীবীরা।
এই গ্রুপটি এমন একটি ভার্চুয়াল মিলনমেলা, যেখানে সদস্যরা পারস্পরিক সহায়তা, উৎসাহ এবং সুযোগ বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের পণ্য, সেবা ও প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। গ্রুপের নির্ভুল ও পেশাদার নিয়মনীতি একে অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপের তুলনায় ভিন্নমাত্রায় স্থান দিয়েছে।
বিপিইসির নির্দেশনায় রয়েছে— অনুমোদিত লাইভ সম্প্রচার, নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে হায়ারিং পোস্ট করা, নিজস্ব পণ্যের প্রচারণা ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান। এর ফলে গ্রুপে অসংলগ্ন বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্টের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও পেশাদার অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
গ্রুপ প্রশাসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আমরা শুরু থেকেই চেয়েছি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে, যেখানে উদ্যমী ও সৃজনশীল মানুষরা নিজেদের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে পারবেন। সদস্যদের আন্তরিকতা ও একাগ্রতা বিপিইসির সফলতার মূল চালিকা শক্তি।”
বর্তমানে গ্রুপে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পোস্ট প্রকাশিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তা কার্যক্রম, লাইভ প্রচারণা, হায়ারিং বিজ্ঞপ্তি, ট্রেনিং তথ্য এবং সদস্যদের সফলতার গল্প। পাশাপাশি, BPEC-এর অফিসিয়াল পেজ এবং সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা পেজগুলোতেও নিয়মিত কনটেন্ট প্রচার ও পরামর্শ কার্যক্রম চলছে।
উল্লেখ্য, বিপিইসি একটি পাবলিক ফেসবুক গ্রুপ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। যে কেউ এতে যুক্ত হতে পারেন এবং পোস্ট দেখতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ এবং উদ্যোক্তামূলক ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপ সংশ্লিষ্টরা।
এই অর্জনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো—বাংলাদেশের তরুণ সমাজ উদ্যোক্তা চিন্তা ও ডিজিটাল প্রমোশন নিয়ে আগ্রহী। একটি সঠিকভাবে পরিচালিত অনলাইন কমিউনিটি কতটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, বিপিইসি তার উজ্জ্বল উদাহরণ।
আপনার মতামত লিখুন :